স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে হবিগঞ্জে চলছে অবৈধ জাল আটক অভিযান। জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের নির্দেশে প্রতিদিন বিভিন্ন হাওরে অভিযান পরিচালনা করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ ও জেলা মৎস্য অধিদপ্তর। প্রতিদিন আটক করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে হাজার হাজার মিটার অবৈধ জাল। এতে রক্ষা পেয়েছে অসংখ্য চাড়া মাছ। এর ফলে জেলায় এবার মাছের বাম্পার উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখছেন মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
অবৈধ কারেন্ট জাল ও কাথা জাল ব্যবহার করে মৎস্য আহরণের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে গতকাল ও আজকে সর্বমোট ৩৮ হাজার ৫শ’ মিটার কাঁথা জাল ও ৫৪ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পোড়ানো হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩৮ লাখ ৫৪ হাজার টাকা হবে বলে জানায় মৎস বিভাগ।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের নির্দেশ ও নেতৃত্বে গতকাল বিকেলে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা বাজারের কাছে হাওরে অভিযান পরিচালিত হয়। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে অভিযানে অবৈধ কাঁথা জাল দিয়ে মাছ শিকারের অভিযোগে ৫ হাজার মিটার কাঁথা জাল (বেড়) জাল জব্দ করে পোড়ানো হয়। আজ সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনিছুর রহমান খানের নেতৃত্বে কালারডোবা ও লুকড়া ইউনিয়নের হাওর এলাকা থেকে ২০ হাজার মিটার অবৈধ কাঁথা জাল, ভেশাল জাল ও ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরে কালারডুবা এলাকায় আগুনে পুড়িয়ে আটকৃত জাল ধ্বংস করা হয়। পরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লুকড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ। সেখানে আরো ১৬ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, কাঁথা জাল ও ভেশাল জাল জব্দ করা হয়। পরে দুপুরে নিমতলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে এসব জাল আগুনে পুড়ানো হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনিছুর রহমান খানের নেতৃত্বে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহজাদা খসরু, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ লিয়াকত আলী ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কনিক চন্দ্র শর্মা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসনূভা নাশতারানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ৮ হাজার ৫শ’ মিটার অবৈধ বেড় জাল আটক করা হয়। এদিকে নবীগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া মমিনের নেতৃত্বে অভিযানে নবীগঞ্জ বাজার থেকে ১৩ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে একজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৭ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাহুবল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) খৃষ্টফার হিমেল রিছিলের নেতৃত্ব স্নানঘাট এলাকার হাওর থেকে ৫ হাজার মিটার কাঁথা জাল ও ১ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়ানো হয়। বানিয়াচং উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইফফাত আরা জামান ঊর্মির নেতৃত্বে গন্ধর্বপুর গ্রামের হারুনিয়া হাওর থেকে ২৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। অবৈধ কারেন্ট জাল ও বেড়/কাঁথা জাল ব্যবহার করে মৎস্য শিকারের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।