সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একরার হোসেনকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
হত্যা পরিকল্পনার কথোপকথন ছড়িয়ে পড়ায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে এলাকায়।
প্রবাসে থেকেই হত্যার এমন ভয়ানক পরিকল্পনা করেন সম্প্রতি ত্রিপল মার্ডার মামলার পলাতক আসামি একই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আহাদ মিয়া ও তার বেয়াই আব্দুল হাই ও তাদের সহযোগীরা বর্তমান চেয়ারম্যানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এছাড়াও তাদের সঙ্গে পরিকল্পনায় জড়িত রয়েছেন আহাদের বেয়াই সুহেল রানা ও প্রবাসে থাকা সুবেল আহমদ।
কিন্তু হত্যাকাণ্ডে ব্যর্থ হয়ে এখন তারা মামলা দিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজানোর চেষ্টায় রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ২৯-০৩-২০২৪ তারিখে স্থানীয় মসজিদে বর্তমান চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই ফজলু মিয়া নামাজ পড়তে গেলে বাধা দেয় প্রতিপক্ষ। এ নিয়ে গত শনিবার ৩০-০৩-২০২৪ তারিখে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
এই বিরোধকে কাজে লাগিয়ে চেয়ারম্যান একরার হোসেনসহ তার স্বজনদের আসামি করে মামলা দায়ের করে প্রতিপক্ষ। ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্টজনকে ব্যবহার করে তারা থানা পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ করিয়ে এই মামলা রেকর্ড করায়। মামলা দায়েরের পর বর্তমান চেয়ারম্যান পক্ষ পলাতক রয়েছেন। এই সুযোগে তারা প্রতিপক্ষের বাড়িতে অস্ত্র রেখে উদ্ধার নাটক সাজানোর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভোক্তভোগীরা।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সাবেক চেয়ারম্যান আহাদ মিয়ার বেয়াই আব্দুল হাইয়ের চাচাতো ভাই সুবেল আহমদের কথোপকথনে শোনা যায়,
‘আমরা প্রবাসে যারা আছি, সবাই মিলে টাকা যোগাড় করতেছি। সবাই টাকা দিয়ে দিলে যে মিশনে আমি নেমেছি, বর্তমান চেয়ারম্যানের সাথে, সেটি পুরা করবো। এরআগে ২০০৯ সালে তারে চেয়ারম্যান ‘একরার হোসেনকে’ গুলি করেছি। কিন্তু ও মরে নাই। এবার সবার সঙ্গে কথা বলতেছি, টাকা দিলেই ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবো।
স্থানীয় সূত্র আরো জানায়, মসজিদে নামাজ পড়তে না দেওয়ার ঘটনার সূত্র ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে উভয় পক্ষের ৬/৭ জন আহত হন।
কিন্তু ঘটনাটিকে রং দিতে গিয়ে পরবর্তী ওইদিন বিকেলে আব্দুল হাইয়ের ভাই সোহেল রানা, চাচাতো ভাই জুয়েল, লিটন, ফরহাদ, আমজাদসহ অজ্ঞাতরা মসজিদ মার্কেটের দোকানপাট ভেঙে প্রতিপক্ষের ওপর দোষ চাপায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।
হামলার এই ঘটনাটি ভিন্নখাতে নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর দোষ চাপায় ষড়যন্ত্রকারীরা। তারা স্থানীয় ক্ষমতাসীনদের ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের অর্ধশত লোকজনের নামে মামলা দায়ের করে। কিন্তু মামলা দায়ের করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা। এবার বর্তমান চেয়ারম্যান ও তার স্বজনদের ফাঁসাতে কৌশল করে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজানোর চেষ্টায় ব্যস্ত তারা।
চেয়ারম্যান মোহাম্মদ একরার হোসাইনকে হত্যার এমন ভয়াবহ পরিকল্পনা ফাঁস হওয়ার পর আতংকিত স্থানীয়রা। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী