স্টাফ রিপোর্ট ॥ নামেই হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল। বাস্তবে এর কোনো মিল নেই। সম্প্রতি ১৫০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় রূপান্তরিত করা হয়। কিন্তু চিকিৎসার মান রয়ে গেছে আগের মতো। নেই কোনো ওষুধপত্র, নেই কোনো খাবার স্যালাইন। এন্টাসিড ও গ্যাস্টিকের ওষুধ ছাড়া আর কিছুই মিলেনা এ হাসপাতালে।
৮ তলা ভবনের অনেক ওয়ার্ডই অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। কিন্তু হাসপাতালে তিল ধারণের ঠাই নেই। অনেকেই বারান্দার মেঝেতে চিকিৎসা নেন। শিশুদের জন্য স্ক্যানু ওয়ার্ড থাকলেও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না পর্যাপ্ত। ২০-২৫ জন নবজাতক এলে রদবদল করে চিকিৎসা দেয়া হয়। এতে করে নবজাতকদের প্রাণহানির শংকা রয়েছে। অনেক নবজাতক ওজন কম হওয়াসহ নানা রোগে এখানে আসে। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ সরঞ্জাম না থাকায় রদবদল করে চিকিৎসা দেয়া হয়।
গতকাল রাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাহুবল উপজেলার লালপুর গ্রামে রতন দাসের দুই জমজ নবজাতক জন্মগ্রহণ করার পর তাদের ওজন কম হওয়ায় ৩ দিন ধরে স্ক্যানুতে ভর্তি আছে। কিন্তু বক্সে জায়গা না থাকায় তাদেরকে বাইরের বারান্দায় মশারী দিয়ে চিকিৎসা করতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, অনেক অভিভাবকরাও বারান্দায় শুয়ে থাকেন। এমন অবস্থা প্রতিনিয়তই দেখা যায়। অনেকেই অভিযোগ করেন স্ক্যানু ওয়ার্ডে গাদাগাদি করে চিকিৎসা করাতে হয়। আবার অনেক নার্স ও আয়ারা অশোভন আচরণ করেন। কিন্তু সন্তানের মায়ায় কষ্ট হলেও দিনের পর দিন রাতের পর রাত মশার কামড় খেয়ে মেঝেতে অবস্থান করে চিকিৎসা নেন।